আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা সম্ভব হলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার আশা প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনাকালে প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে আজ সোমবার এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জাকির হোসেন বলেন, ‘যদি সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ উন্নীত করা হবে। উভয় পরিকল্পনার জন্যই সংশোধিত সিলেবাস তৈরির কাজ করছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।’
দেশে এখন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখের বেশি। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী) শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় কোটি আর বাকি এক কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে। এই বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর জীবনে যাতে কোনো প্রকার বিরতি চলে না আসে; সে লক্ষ্যেই বছরান্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনাকালে স্কুলপর্যায় থেকে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেই জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। এই পরীক্ষা আরও যুগোপযোগী করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের কাজ চলছে। যদি সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলে, তাহলে আমাদের এক ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আর এই সময়ে স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এজন্য সংশোধিত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী ক্লাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঠ চিন্তা করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে।’
ইরাব সভাপতি মুসতাক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন ইরাবের জ্যেষ্ঠ সদস্য সাব্বির নেওয়াজ। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
Leave a Reply